এক
একদা এক আগন্তুক রামদা নিয়ে এসে বলেছিলো-
মাথা নামাও-
ঐ যে কাঠের পিড়ি
তার উপরে রাখ একটু কাত করে.
এতটুকু নড়াচড়া করো না কিন্তু।
আমি হাটু গেড়ে মাথা রাখলাম
তার দেখানো কাঠের পিড়িতে
হাত দুটো পিঠের দিকে নিয়ে
চোখ বন্ধ করি
তারপরে অপেক্ষা ...
একসময় সে বলে উঠলো-
হয়ে গেছে!
রামদা থেকে চুয়ে পড়া রক্ত
রুমালে মুছতে মুছতে
সে পকেট থেকে একটা পান বের করে
মুখে দেয়,
পিচিক করে পিক ফেলে
ঠিক আমার মাথাটার পাশেই।
আমি উৎকট গন্ধে চোখ খুলি
উঠে দাড়াই
দাড়িয়ে দেখি
মাথাটা আমার স্বস্থানেই বহাল
কেবল, মাথার ভেতর থেকে
থকথকে দলা দলা মগজ
এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে.
আর, সাথে সাথে হারিয়ে ফেলেছি-
প্রেম - ভালোবাসা- জ্ঞান- প্রতিবাদ
ও সভ্যতা!
দুই
আজো রামদা হাতে তারা আসে
দলে দলে ঝাকে ঝাকে
নিষ্পলক তাকিয়ে দেখি-
কাঠের পিড়িতে মাথা রাখে একে একে কতজন
রক্ত ফিনকি দিয়ে ছুটে বেড়ায়,
আর, তারা-
রুমাল দিয়ে যত্নে রামদা পরিস্কার করে,
পান মুখে দেয়- পিচিক করে পিক ফেলে
ঝুলে থাকা মস্তকের পাশেই ...
চেনার চেস্টা করি
রামদা হাতে ওদের; চেনা যায় না-
বা দেখা যায় না
রামদা বড় হতে হতে
আজ সব ঢেকে যায়-
চোখে শুধু রামদা দেখি-
লাল কিংবা চকচকে ধারালো রঙ এর ।।
[২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বরে লিখিত। ঐ সময়ের দুঃস্বপ্ন, ট্রমাকে ধরার চেস্টা বলা যেতে পারে।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন