একঃ ভূমিকাপর্ব
এক ইসলামি বৈঠকে বেয়াড়াগোছের এক ব্যক্তির প্রশ্নঃ
সুরা আল- জ্বিন এর আয়াত : ৩ এ বলা হয়েছে, "And exalted be the Majesty of our Lord, He has taken neither a wife, nor a son (or offspring or children)" অর্থাত "এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তার কোন সন্তান নেই।" এখন প্রশ্ন হলো, "আল্লাহ কি পুরুষ?"
অনেকেই উত্তর দেয়ার চেস্টা করেছেন। যেমনঃ
"আল্লাহ পুরুষ নন, আবার নারীও নন- সকল লিঙ্গের ঊর্ধ্বে তিনি; কিন্তু , আমরা ইংরেজীতে তাঁকে লিখতে হলে সর্বনামের স্থানে HE/ HIM/ HIS ব্যাবহার করি কেননা তাকে ক্ষমতাধর এবং শক্তিশালী হিসেবে গণ্য করা হয় আর সকল শক্তিশালী শব্দকেই HE/ HIM/ HIS দ্বারা সম্বোধন করা হয়ে থাকে"।"আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়- কোনো প্রোটোটাইপ পাবেন না; ইংরেজী অনুবাদের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়- কারণ অদ্বৈত কোনো সত্বাকে উনি বা তিনি সম্বোধনে বোঝানো যায়- ইংরেজিতে হিজ বা হার লাগে; আরবিতে সেটা শুধুই আল্লাহ"।
"ঐ আয়াতের আগে-পিছের কথা দেখলে অনেক কিছু পরিস্কার হবে, ঐ আয়াতটি আল্লাহর উক্তি নয়, বরং তা জ্বিনদের কথোপকথন। আসলে বাংলায় কোরানের যেসব অনুবাদ সহজলভ্য তার বেশিরভাগই অজস্র ভুলে ভরা।
"'পত্নী' যেই শব্দটার অনুবাদ, সেটা আরবীতে পুরুষ এবং মহিলা দুজনকেই বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। সত্যি যদি কোরান বুঝতে চান, তাহলে অনুরোধ করব আগে শুদ্ধ এরাবিক ল্যাংগুয়েজ জানুন, তারপর পড়ুন এবং তারপর প্রশ্ন করুন"।
উপদেশ
মেনে, আরবী ভাষা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করছিলাম। কিন্তু, এতে
আরো প্যাঁচের মধ্যে পড়লাম! আশা করি, আপনারা যারা অনেক পড়েছেন, শুদ্ধ
আরবী ভাষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন- তারা হয়তো এই প্যাঁচ কাটাতে পারবেন।
শুদ্ধ
অনুবাদ নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, সেহেতু- বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রায় ৭/৮ টি অনুবাদ পাশাপাশি
দেখলাম, নেটে প্রাপ্ত অনুবাদও দেখলাম; সবকটিতেই পেলাম- তিনি স্ত্রী/পত্নী/সহচরী
গ্রহণ করেননি বা He has taken neither a wife.....। বুঝলাম না, ভাবলাম
শব্দটি সম্পর্কে একটু অনুসন্ধান চালাই। যে শব্দের বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে স্ত্রী/পত্নী- সেটি
হচ্ছে আরবী সাহিবাত, তিনটি ডিকশনারি (আরবী-বাংলা, আরবী-ইংরেজী)
ঘেটে পেলাম- স্ত্রী, বান্ধবী, কর্ত্রী, ওয়ালী, অধিকারিণী, wife প্রভৃতি
স্ত্রীবাচক শব্দ।
আরো
কনফিউজড হয়ে গেলাম।
ভাবলাম,
আরবী ব্যকরণটি দেখি। এ শাখাটি আলোচিত হয়, ইলমুস সরফ বা মিজানুস সরফ ও মুনশায়িব গ্রন্থে। সেটি ঘেটে দেখলাম আরবী ভাষায়- ক্রিয়াটি(ফি'ল)
শুধু কালের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তা কর্তার পুরুষ(নাম, মধ্যম, ও
উত্তম), লিঙ্গ(পুং ও স্ত্রী), বচন(এক, দ্বি
ও বহু)- এসবের উপরও নির্ভরশীল। এসব ভেদে ফি'ল এর বিভিন্ন রূপকে বলে সীগা। নামপুরুষ, একবচন
পুং লিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। একটি উদাহরণ দেই, অতীত
কাল(ফি'লে মাজি), নামপুরুষ, একবচন, পুং
লিঙ্গ একটি শব্দ নাসারা (সে (পুং) সাহায্য করলো), স্ত্রীলিঙ্গ হলে হয়ে যাবে, নাসারাত
(সে (স্ত্রী) সাহায্য করলো)। অতীত কালে না বোধক বোঝাতে সামনে চলে আসবে মা। মা নাসারা বা মা নাসারাত মানে সে
সাহায্য করেনি, যথাক্রমে পুং ও স্ত্রী লিঙ্গ বুঝাবে।
আলোচ্য
সুরা আল-জ্বিন সুরা ৩ নং আয়াতের ক্রিয়াটি হচ্ছে, গ্রহণ করেননি। আরবীতে মা'ত্তাখাজা। এটির ক্রিয়া পদটি অতীত কালের একবচন, নাম
পুরুষ, পুং লিঙ্গ না-বোধক এর সীগার অনুরূপ। স্ত্রীবাচক সীগাটি হবে, মা'ত্তাখাজাত।
কোরআনের
অন্যান্য আয়াতসমূহেও (সব এখনও দেখতে পারিনি) দেখলাম, আল্লাহকে কেন্দ্র করে যত
ক্রিয়া আছে - তাতে পুং লিঙ্গ এর সীগা অনুসরণ করা হয়েছে।
ফলে, এ ধারণা হতেই পারে, 'আল্লাহ' শব্দটি আরবী ব্যকরণ মতে পুং লিঙ্গ; যদিও তিনি সুরা ইখলাস অনুসারে এক-অদ্বিতীয়।
: আল্লাহ নিরাকার।এবং তিনি আমাদের মানবিক লিংগ সম্বোধনের উর্ধে।এটা ইসলামের মূল বিশ্বাস। তাই তার নিরাকৃতির এই থিমের উপর আয়াতটির অনুবাদ করলে অর্থ হবে- তিনি কোনো জীবন-সংগী গ্রহন করেননি। অনুবাদ-বিজ্ঞানের মূল লক্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে দুইটি হল-
১-একটা ভাষার আক্ষরিক অনুবাদ করলে সেই ভাষার মূল অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই বিকৃত হয়ে যায়।
২-অনেক সময় ভাষার অনেক আনুসঙ্গিক বিষয় তার ভাবার্থে প্রভাব ফেলে।
এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
তারপরও যদি প্রশ্ন থেকে যায় তখন কথা হল-
আল্লাহ তার বার্তা পাঠান মানুষের ভাষায়, যাতে মানুষ বুঝে। তিনি কোনো আসমানী ভাষায় বার্তা পাঠান না। এখন পৃথিবীর সব ভাষাতেই আপনি দুইটা বৈশিষ্ট খুঁজে পাবেন-
১- সামগ্রিকভাবে ছেলেমেয়ে উভয়কে সম্বোধন করার প্রয়োজন হলে পূঃলিংগ ব্যবহার করা হয়।
২- যে কোনো সম্মানিত সম্বোধনের ক্ষেত্রে পূঃলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়। যেভাবে সম্মানিত সম্বোধনের ক্ষেত্রে একবচন ব্যবহার না করে বহুবচন ব্যবহার করা হয়। (এই নিয়ম মোটেও মেয়েদেরকে নীচু করার জন্যে নয়, যেমনটা গুটিকয়েক নারীবাদী মনে করে থাকেন।)
ভাষার বৈশিষ্ট্ অনুযায়ী তাই সম্মানিত সম্বোধনটাই আল্লাহ'র ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা দিয়ে তার লিঙ্গ-পরিচয় তুলে ধরা হয়নি।
:: এখানে আমি শুধু আক্ষরিক অনুবাদগত বিষয়টি তুলে ধরার চেস্টা করেছি, ভাষাগতভাবে আল্লাহ'র লিঙ্গ নির্ধারণের চেস্টা করেছি। কখনও বলিনি- আল্লাহ প্রকৃতই পুরুষ।
সাহিবা (صَاحِبَةً) শব্দটি দ্বারা আরবী ভাষাভাষীরা কি বুঝেন বা কি বুঝতে অভ্যস্ত? এই স্ত্রী বাচক শব্দটি যখন ব্যবহার করা হয়, তখন জীবন-সঙ্গিনীর কথাই মাথায় প্রথম কি আরবী ভাষাভাষীদের আসবে না? হুম, উল্টোদিকে আল্লাহর সম্পর্কে অন্যসব ধারণার কারণে, সেটার শেষ পর্যন্ত যে ভাবধারাটা আসে সেটা হলো,- জীবনসঙ্গিনী বা জীবনসঙ্গী গ্রহণের কোন বিষয়ই তাঁর ক্ষেত্রে ঘটা তাঁর ক্ষেত্রে সম্ভব না- মানে তাঁর দ্বারা বিয়ে-জন্ম-মৃত্যু এধরণের মানবীয় কাজকারবার সম্ভব না। ফলে, এই ভাবটি স্পষ্ট হয়, আপনি ঐ আয়াতের অর্থ 'তিনি স্ত্রী গ্রহণ করেননি' এটা করলেও তা স্পষ্ট হয়- যদি আল্লাহ সম্পর্কে অন্যান্য ধারণা আমাদের জানা থাকে। ফলে- এ ক্ষেত্রে আক্ষরিক অনুবাদে কোন সমস্যা দেখি না।
পৃথিবীর
সব ভাষার দুটি বৈশিষ্ট যেটা উল্লেখ করেছেন- সেটি সম্পর্কে প্রথমেই বলতে হয়- পৃথিবীর
সব ভাষা সম্পর্কে ঢালাও বলার আগে, জেনে
বলা ভালো।
বাংলা
ও ইংরেজী- আমাদের পরিচিত গণ্ডিতেই একটু দৃষ্টি ফেলে দেখিঃ
বাংলা ভাষায়, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ উভয়ই লিঙ্গ নিরপেক্ষ, আরবী ভাষার বিপরীত। সে, তিনি, আপনি, তারা এসবের সাথে আপনার পরিচয় থাকাটাই স্বাভাবিক। ফলে, উভয়লিঙ্গ বা লিঙ্গহীন বুঝাতে পুং লিঙ্গ ব্যবহার করার রেওয়াজ নেই। আর বিশেষ্যের ক্ষেত্রে, সাধারণ বিশেষ্যের(পুং ও স্ত্রী লিঙ্গ উভয়কে বুঝায়) যেগুলোকে স্ত্রীবাচক করা হয়- সেগুলো ভুল প্রয়োগ। (যেমন, মন্ত্রী বলতে পুং লিঙ বুঝায় না- তা উভয়ই হতে পারে, সমস্যা টা হয়, আমরা মহিলা মন্ত্রী বা নারী মন্ত্রী ব্যবহার করায়, অনেকসময় মনে হয় মন্ত্রী যেন পুং লিঙ্গ!!!)।
ইংরেজীতে ক্রিয়াপদ লিঙ্গ নিরপেক্ষ হলেও, নামপুরুষ একবচন সর্বনাম লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়। তবে উভয় লিঙ্গকে নির্দেশ করে বা কোন লিঙ্গকেই বুঝায় না এমন সর্বনামও কিন্তু আছে (It, প্রভৃতি)। He/She ব্যবহারের চেয়ে এসব ক্ষেত্রে এই It ব্যবহারই কিন্তু শ্রেয়তর।
পৃথিবীর অনেক ভাষাতেই উভয়লিঙ্গ বা ক্লীবলিঙ্গ প্রকাশের জন্য আলাদা ভঙ্গি বিদ্যমান।
আরবীতে, সেটা অবর্তমান- ফলে, সমস্ত কিছুকেই হয় পুং লিঙ্গ না হয় স্ত্রী লিঙ্গ হতে হয়, নদী-নালা-খাল-বিল এসবের ক্ষেত্রেও তাই। এটা আরবীর ভাষাগত একটা সমস্যা।
: আপনার আলোচনায় কয়েকটি বিষয় এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে আমার অভিমত হলোঃ
যখন সম্মানিত কারো ক্ষেত্রে আরবী ভাষা ব্যবহার করা হয় তখন সে ছেলে হোক মেয়ে হোক তার ক্ষেত্রে পুংলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়। হিব্রুতে অবতীর্ণ ইঞ্জিলের অনুবাদের টীকাতেও আমি দেখেছি সেখানেও বিভ্রান্তি না সৃষ্টি হওয়ার জন্যে সেইম এই কথাটাই বলে দেয়া হয়েছে। তাই ভাবার্থ বা আক্ষরিক অর্থ যাই বলুন, যখন আপনি কোরআনের অনুবাদ করবেন, তখন "জীবন সংগী" অনুবাদ করতে হবে। পত্নী অনুবাদ করলে ভুল হবে।
অতএব, দুই জায়গাতেই আমার অবস্থান একই।
আমি আবারো বলছি- সাধারন ক্ষেত্রে যা ব্যবহৃত হয় তা আপনি স্রষ্টার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন না। স্রষ্টা মানুষের সাথে কমিউনিকেটের জন্যে যে ভাষার ব্যবহার করেন সেই ভাষার সম্মানিত সম্বোধনটাই তার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাই সাধারন ক্ষেত্রে "সাহিবা" দ্বারা কী বুঝায় তা নিয়ে আপনি কোরআন অনুবাদ করে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।
আপনি বাংলা ভাষায় যেই লিংগ নিরপেক্ষতা দেখিয়েছেন তা চাইল্ডিশ। শুধু তাসলিমা নাসরিনের একটা উদাহরন-ই যথেষ্ট- বাংলাভাষার লিংগবৈষম্যের উর্ধে যাওয়ার প্রচেষ্ঠাতেই সে ছেলেবেলার শব্দের বিপরীতে মেয়েবেলা বানিয়েছে।
আর অমন মন্ত্রী-মার্কা লিংগ নিরপেক্ষ শব্দতো আরবীতেও আছে!! কিন্তু সাহেবা যেমন স্ত্রী-লিংগ, বাংলাতে স্ত্রী/পত্নী-ও তো স্ত্রী-লিংগ!!
আমার ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ জ্ঞান যদি আমাকে ধোকা না দেয় তাহলে বলব- ইংরেজীতে এই it এর ব্যবহারের শুরু আধুনিক। ইংরেজী ভাষা-বিজ্ঞানীরা রেনেসার পর থেকেই এই ভাষাকে লিংগ-বৈষম্যের উর্ধে তোলার নিরন্তন চেষ্টাতেই এই আধুনিকায়নের শুরু। ক্লাসিকাল ইংলিশে সম্মানিত সম্বোধনের ক্ষেত্রে পুংলিংগ-ই ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃথিবীতে খুব খুব খুব-ই কম ভাষা আছে যা লিংগ-বৈষম্যের উর্ধে।
আপনি আরবী ভাষার একটি সমস্যা বের করেছেন! এত বড় বড় ওরিয়েন্টালিস্টরা যারা ইসলামের ছিদ্রান্বেষন করতে গিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করার সুযোগ পায়নি,বছরের পর বছর ডিপার্টমেন্টে পড়ে থেকেছে তারাও স্বীকার করেছে সেমেটিক হিব্রু + আরবী হচ্ছে পৃথিবীর বেসিক ল্যাংগুয়েজগুলোর একটা, সেখানে আপনি?? আপনি ভাষা বিজ্ঞান নিয়ে আরো পড়ুন। আমি যতটুকু জানি তাতে এটা বলতে পারি আরবী ভাষা নিয়ে আপনার এই একিউজিশান শুনলে যে কোনো অমুসলিম ওরিয়েন্টালিস্ট প্রফেসর ও আপনাকে তার রুমেই ঢুকতে দিবেনা!
:: আরবী ভাষাভাষীরা সাহিবা শব্দ দিয়ে কি বুঝে? তারা এটিকে স্ত্রীবাচক শব্দ হিসাবেই চেনে। আরবী ভাষায় সাধারণ অর্থে সাহিবা মানে স্ত্রী বা পত্নী বুঝলেও 'আল্লাহ সাহিবা গ্রহণ করেনি'- এটা বলার পরও আল্লাহকে পুরুষ মনে হয়নি- সেটা আল্লাহকে কেন্দ্র করে জ্ঞানের জন্যই। ফলে বাংলা অনুবাদেও যদি আক্ষরিক অনুবাদ করা হয় - তবে 'আল্লাহ কোন পত্নী গ্রহণ করেননি', বললেও বেশিরভাগেরই মাথাতে আল্লাহ পুং লিঙ্গ কিনা এ প্রশ্ন আসেনা কেননা- আল্লাহ সংক্রান্ত সাধারণ ধারণা। আমি এই আলোচানার উদ্দেশ্যে - ওভাবে শুরু করেছিলাম দুই নম্বর পয়েন্ট। আমি মনে হয়, আপনাকে বুঝাতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে আরেকটু বলি- ধরেন, যদি আয়াতটি এমন হতো- আল্লাহ কোন স্বামি গ্রহণ করেননি- তারপরো আল্লাহ সংক্রান্ত সাধারণ ধারণার জন্য ভাবানুবাদ আমরা ঐ কমন জেন্ডারই বুঝতাম!!
ভাষা নিয়ে আরেকটু লিখতে হচ্ছে এ কারণে যে, মনে হচ্ছে যে আপনি আমার পয়েন্ট ধরতে পারেননি। সম্ভবত "সেমেটিক হিব্রু + আরবী হচ্ছে পৃথিবীর বেসিক ল্যাংগুয়েজগুলোর একটা" বা আরবী ভাষার মত অসাধারণ ও দুর্দান্ত ও ত্রুটিহীন ভাষা দুনিয়ায় একটাও নেই এধরণের ধারণা আপনার মধ্যে অন্ধভাবে শিকড় গেড়েছে। অন্ধভাবে বলছি এ কারণে যে, আপনি সিদ্ধান্ত আকারে জানাচ্ছেন- কেন এই ভাষার মধ্যে সমস্যা নেই, কেন ও কোন জায়গা থেকে বেসিক ল্যাংগুয়েজগুলোর একটি- সে আলোচনা করেননি এবং আমার দেয়া সমস্যাটিকে খন্ডন করেননি। যাহোক- আমার পয়েন্ট আরেকটু ব্যাখ্যা করি।- দেখি পরিস্কার করতে পারি কিনা।
প্রথমে পদ নিয়ে বলি। বিশেষ্য, বিশেষ্যের রিপ্লেসমেন্ট সর্বনাম, গুন/পরিমাণ প্রভৃতি বাচক বিশেষণ ও বাক্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্রিয়া। এর পর লিঙ্গ ও বচন। লিঙ্গ হচ্ছে - পুং লিঙ্গ, স্ত্রি লিঙ্গ, উভয়লিঙ্গ ও ক্লীব লিঙ্গ। বচন- একবচন, দ্বিবচন ও বহুবচন। পুরুষ হলো পুং লিঙ্গ, মহিলা স্ত্রী লিঙ্গ, মানুষ পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই নির্দেশ করে। বাংলা ভাষায় লিঙ্গভেদ প্রধানত বিশেষ্য পদে (কিছু বিশেষণেও)। পুং লিঙ্গের উদাহরণ- ছেলে, বালক, বাবা, ভাই; অন্যদিকে স্ত্রী লিঙ্গের উদাহরণ- মেয়ে, বালিকা, মা, বোন। উভয়লিঙ্গ- মানুষ, শিল্পী, মন্ত্রী, আমলা প্রভৃতি, ক্লীবলিঙ্গ- বই, খাতা, পাহাড়, পর্বত, বাতাস প্রভৃতি।
বাংলার সর্বনাম (আমি, তুমি, সে, তিনি, তারা প্রভৃতি)- সাধারণভাবে লি্ঙ্গ-নিরপেক্ষ বা উভলিঙ্গ; ক্রিয়াপদও তাই।
ইংরেজী ভাষাও বাংলা ভাষার মতোই- ক্রিয়াপদ লিঙ্গ নিরপেক্ষ, তবে সর্বনামের ক্ষেত্রে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারের (He/She) ক্ষেত্রে তা লিঙ্গ নিরপেক্ষ না। যদিও এক্ষেত্রে It আছে, তথাপি তা সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করাও যায়না। এটাকে একটা দূর্বলতা বলেই মনে হয়। কেননা The wind is blowing, it charms us.-এখানে It ব্যবহার করা গেলেও The student goes to school regularly, he/she passes well. এখানে It ব্যব হার করা যাচ্ছেনা এবং he অথবা she এর একটি ব্যবহার করতেই হচ্ছে। বাংলায় এই ক্লীবলিঙ্গ বা উভলিঙ্গ কর্তার জন্য সর্বনামে বা ক্রিয়ায় কোন সমস্যায় পড়তে হয়না। সে, তিনি এটি পুং/ স্ত্রী/ উভ/ক্লীব সবক্ষেত্রেই একই। যেমন ইংরেজীতে তার্ড পারসন প্লুরালে They।
তবে, ইংরেজী ভাষার এই সমস্যা অত প্রকট নয়, কেননা- তা শুধু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার প্রোনাউন বাক্যের সাবজেক্ট হলে- সেই সাবজেক্ট টির লিঙ্গ ডিফাইন করতে হচ্ছেই। কিন্তু এটা পরিহার করা যায়- প্রোনাউন ব্যবহার না করে প্রতিক্ষেত্রেই নাউন ব্যবহার করলে। কিন্তু, উভলিঙ্গ বা ক্লীবলিঙ্গ নাউন সাবজেক্টে আসলে বাক্যের কোন স্থানে লিঙ্গ নির্ধারণের প্রয়োজন পড়ে না। কি বাংলায় কি ইংরেজীতে; যেমন- বাতাস বহিতেছে, The wind is blowing। আল্লাহ আদেশ করেন, Allah orders প্রভৃতি।
কিন্তু আরবী ভাষায়- ক্রিয়া পদটি শুধু কাল ও পুরুষের(নাম, মধ্যম, উত্তম) উপর নয়, তা লিঙ্গ ও বচনের উপরও নির্ভরশীল। কিন্তু, লিঙ্গ শুধু দুটি- পুং ও স্ত্রী লিঙ্গ। উত্তম পুরুষ ছাড়া, বাকি সব পুরুষেই- সব বিশেষ্য-সর্বনাম সাবজেক্ট হলেই তার ক্রিয়া, সাবজেক্টের লিঙ্গ অনুযায়ি পরিবর্তিত হয়।
ক্লীবলিঙ্গ বা উভলিঙ্গ বা লিঙ্গহীন সাবজেক্টের জন্য এ ধরণের কোন ক্রিয়ার রূপ বা সিগা নাথাকায় এই সমস্যা হয়েছে। ফলে, বাতাস বহিতেছে - একে আরবী করতে গেলেও বাতাসকে হয় পুরুষ হতে হয় নতুবা মেয়ে হতে হয়। এমনকি তুমি-কেও পুং বা স্ত্রী হতেই হয়। এটাকেই আমি ভাষাগত সমস্যা বলেছিলাম। কেননা- ভাষা সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ভাবটি প্রকাশ করতে পারছে না (ভাষার প্রধান কাজ যেহেতু ভাব প্রকাশ, সেটি প্রকাশে সীমাবদ্ধতা একটি সমস্যা বলেই গণ্য হওয়া উচিত)।
এটি ভাষাগত সমস্যাই। কিন্তু আপনি যে জানালেন, পৃথিবীর সকল ভাষায় সম্মানার্থে পুং লিঙ্গ ব্যবহার করা হয়- এখানে সেরকম কোন ব্যাপার ঘটেনি। কেননা, জ্বিন বললেও পুং লিঙ্গের ফর্মটি ব্যবহার করা হয়েছে কোরআনে; আর চরম ঘৃণার পাত্র, ইবলিস শয়তানকেও পুং লিঙ্গের ক্রিয়া ধারণ করতে হয়েছে।
আরেকটি বিষয়ে দুটি কথা বলি।
ছেলে একটি পুরুষ বাচক শব্দ। এখন কোন স্ত্রীবাচক শব্দকে যদি একটি ভাব প্রকাশে এই পুরুষ বাচক শব্দ গ্রহণ ছাড়া কোন উপায় থাকে না- তখন সেটিও ভাষার সীমাবদ্ধতাই বলতে হবে। এর সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের সম্পর্ক বিদ্যমান। একজন পুরুষ যেমন বলতে পারেন ছেলেবেলা, তেমনি একজন মহিলা যদি বলতে পারেন মেয়েবেলা বা এ ধরণের কোন শব্দ, তেমনি একজন মানুষ(উভলিঙ্গ বা লিঙ্গ অপ্রকাশিত) বলতে পারেন ছেলে/মেয়ের কমন রূপ + বেলা - তাহলেই ভাষাটিকে বলা যাবে এক্ষেত্রে সমস্ত ভাব প্রকাশে সমর্থ। এখন এই 'ছেলে/মেয়ের কমন রূপ + বেলা' কিন্তু একজন পুরুষ বা একজন মহিলাও ব্যবহার করতে পারবেন- ফলে তাদের জন্য ছেলেবেলা বা মেয়েবেলা টাইপের শব্দদুটি না থাকলেও চলে, এভাবে শব্দ হয়ে ওঠে লিঙ্গ-বৈষম্যহীন, যেমন শৈশব- রহিমের শৈশব মানে এমনিতেই বুঝা যায় পুরুষের শৈশব, মর্জিনার শৈশব মানে বুঝা যায় একজন নারীর শৈশব, মানুষটির শৈশব বলতে বুঝা যায়- কোন একজনের শৈশব। এটাই হলো ভাষার স্মার্ট প্রকাশ ভঙ্গি।
: আরবী ভাষার verb নিয়ে আপনি যে মত প্রকাশ করেছেন তাতে আমার দ্বিমত আছে। যেমনঃ شمس (সূর্য) শব্দটা যেভাবে পূঃলিংগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ঠিক একইভাবে স্ত্রীলিংগ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তবে নির্ভর করে বাক্য বিন্যাসের উপর। যেমন দু’টি বাক্য দেখুন,
طلع الشمس
طلعت الشمس
এখানে পূঃলিংগ/স্ত্রী লিঙ্গ উভয়টাই ব্যবহার করতে পারেন।
আবার দেখুন,
قام الرجال
قامت الرجال
এখানে رجال (পুরুষগন) শব্দটা পুঃলিঙ্গ হওয়ার পরও verb- قام/ قامت পুঃলিংগ বা স্ত্রীলিংগ দু’টোই ব্যবহৃত হয়।
এখন আপনি বলতে পারেন- verb টাকে কোনো না কোনো লিংগ দিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা আপনার কাছে সীমাবদ্ধতা, কিন্তু এটাই হচ্ছে অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য। কারন আরবীতে একটা verb কে আপনি ১৪ টা form এ রুপান্তর করতে পারছেন।১৪ টা ১৪ অর্থ প্রদানকারী form. যার ফলে form clarification এর জন্যেই লিঙ্গ ব্যবহার দরকার হয়ে পড়ে। এবং এটা ভাষার ভাব প্রকাশে মোটেও বাধা নয়, বরং ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে।
ভাষায় লিংগ ব্যবহার আপনার কাছে দোষনীয়। মূলত রেনেসা সময়কার একটা চেতনাই ছিল লিংগবিভেদ কে তুলে দেয়া। এখানে আপনার সাথে যা রেনেসার এই স্পেসিফিক চেতনাটাকে সাপোর্ট করে তার সাথে আমার মত পার্থক্য রয়েছে। লিংগ সমান হয়না, লিংগের ক্ষেত্র এবং অধিকারে ভারসাম্য এনে সমানুপাতিক পরিবেশ তৈরি করা যায়। এবং তাই ভাষায় লিংগের ব্যবহার আমার কাছে সীমাবদ্ধতা নয়, এটাই ভাষার প্রকৃতি।
:: "আরবী ভাষার verb নিয়ে আপনি যে মত প্রকাশ করেছেন তাতে আমার দ্বিমত আছে।"- এটা বলে আলোচনা শুরু করার পর যে বক্তব্য উপস্থাপন করলেন তাতে কোন দ্বিমত খুঁজে পেলাম না। আমার বক্তব্যটিই আপনি আরেকটি উদাহরণ দিয়ে দিলেন। আমি আরবী হরফে আলোচনা করিনি- আর আপনি আরবী হরফেই দিয়েছেন; এই যা পার্থক্য।
আপনার কি মনে হয়না - সূর্যকে একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ(পুং বা স্ত্রী) হতে হওয়া একটা সীমাবদ্ধতা?
আপনি লিঙ্গ বৈষম্য তুলে দেয়া সংক্রান্ত যে আলোচনা করেছেন- সেটা আমি অফ দ্যা টপিক হিসাবে আলোচনা করেছি ঠিকই, কিন্তু আরবী ভাষার সমস্যা হিসাবে সেটাকে কি কখনও ইন্ডিকেট করেছি?
আমি সমস্যা হিসাবে যেটা বলেছি- সেটা হলো, একটা ভাষার কাজ হলো ভাবের আদান-প্রদান, আর যে ভাষা কোন ভাবকে অবিকল ব্যক্ত করতে না পারলে সেটাকে সে ভাষার সীমাবদ্ধতা বলা হয়। সেক্ষেত্রে আরবী ভাষা ক্লীব লিঙ্গ(সূর্য, বাতাস, বই, খাতা) বা উভয়লিঙ্গকে অবিকল কি প্রকাশ করতে পারছে? পারছে না, কারণ- সেখানে সে প্রকাশরীতি নেই।
আমি কিন্তু একবারো বলিনি- এটা আরবীর লিঙ্গ-বৈষম্যহীন না হওয়ার সমস্যা (আপনি বলেছেন, "ভাষায় লিংগ ব্যবহার আপনার কাছে দোষনীয়")। বলেছি- আরবী ব্যকরণে যে ১৪ টি সীগা রয়েছে- তা লিঙ্গের ক্ষেত্রে শুধু দুটি প্রকারভেদ (পুং ও স্ত্রী লিঙ্গ) নেয়- অন্য কিছু (ক্লীব বা উভয়লিঙ্গ) নেয়না। ফলে- চাঁদ, সূর্য, মাটি, হাওয়া, আল্লাহ, শয়তান সবই হয় পুং লিঙ্গ না হয় স্ত্রী লিঙ্গ হতে হয়। ফলে- এই সীমাবদ্ধতার কারণে, শুধু ভাষা দিয়ে সেটা বোঝা যায়না, বুঝতে হয়, আলাদা কমনসেন্স দিয়ে। সূর্যকে বাক্যে ব্যবহারে পুং লিঙ্গ(ইচ্ছানুযায়ি) করলেও সূর্য সম্পর্কে আলাদা কমনসেন্স দিয়ে বুঝতে হয়- এটা পুরুষ/স্ত্রী কোনটাই নয়, বইকে বাক্যে ব্যবহারে স্ত্রী লিঙ্গ(ইচ্ছানুযায়ি) করলেও বই সম্পর্কে আলাদা কমনসেন্স দিয়ে বুঝতে হয়- এটা পুরুষ/স্ত্রী কোনটাই নয়; তেমনি- আল্লাহ কে বাক্যে ব্যবহারে পুং লিঙ্গ(ইচ্ছার সুযোগ নেই, বাধ্য- করতেই হবে, কিন্তু কেন?) করলেও আল্লাহ সম্পর্কে আলাদা কমনসেন্স দিয়ে বুঝতে হয়- তিনি পুরুষ/স্ত্রী কোনটাই নন। এটাকেই বলছি সীমাবদ্ধতা।
আপনি এটা বলছেন- "verb টাকে কোনো না কোনো লিংগ দিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা আপনার কাছে সীমাবদ্ধতা"- দেখুন আমি verbটাকে কোন না কোন লিঙ্গ দিয়ে ব্যবহার করাকে সীমাবদ্ধতা বলিনি কোথাও।
"কারণ আরবীতে একটা verb কে আপনি ১৪ টা form এ রুপান্তর করতে পারছেন। ১৪ টা ১৪ অর্থ প্রদানকারী form. যার ফলে form clarification এর জন্যেই লিঙ্গ ব্যবহার দরকার হয়ে পড়ে। এবং এটা ভাষার ভাব প্রকাশে মোটেও বাধা নয়, বরং ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে।"- এই ১৪ টা form বা সীগা থাকলেই ভাষা সমৃদ্ধ হয়ে গেল কিভাবে? প্রতিটি ভাষারই প্রকাশের ভঙ্গি থাকে। সেখানে ক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরবীর ১৪ টি সীগা কিন্তু এমন-
১। নামপুরুষ-পুং লিঙ্গে ৩টি বচনে(এক, দ্বি, বহু), ৩টি সীগা,
২। নামপুরুষ-স্ত্রী লিঙ্গে ৩টি বচনে(এক, দ্বি, বহু), ৩টি সীগা,
৩। মধ্যমপুরুষ-পুং লিঙ্গে ৩টি বচনে(এক, দ্বি, বহু), ৩টি সীগা,
৪। মধ্যমপুরুষ-স্ত্রী লিঙ্গে ৩টি বচনে(এক, দ্বি, বহু), ৩টি সীগা,
৫। উত্তম পুরুষে ২টি বচনে (এক ও দ্বি/বহু) ২টি=> সর্বমোট ১৪। কাল গণনায় নিলে, মাজি(অতীত) ও মুজারে(বর্তমান/ভবিষ্যত)- ২৮টি রূপ।
আপনি ইংরেজী বা বাংলা ব্যকরণেও ক্রিয়ার রূপ পাবেন। এখানেও 1st person, 2nd person ও 3rd person আছে, মানে person অনুযায়ি verb এর বিভিন্ন রূপ আছে, বচনের ক্ষেত্রে দ্বিবচনের সাথে verb সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই, আছে singular number ও plural number; মূলত verb নির্ভরশীল কাল বা Tense এবং subject এর person ও number এর উপর, আরবী ভাষার সাথে মূল পার্থক্য হচ্ছে- এখানে লিঙ্গের সাথে verb কোন সংশ্লিষ্টতা নেই- subject ই লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়, কিন্তু আরবীতে subject ও verb উভয়ই লিঙ্গ পরিচায়ক। অবশ্য আরবীতে, সর্বনাম subject ক্রিয়ার মধ্যেই থাকে। যেমন নাসারা- মানে, সে সাহায্য করলো। কিন্তু সাবজেক্ট noun হলে ক্রিয়ার সাথে সাথে তাকেও আলাদাভাবে থাকতে হয়। এখন সমস্যাটি দেখেন। আরবীতে verb এর লিঙ্গ শুধু দুটি, পুং ও স্ত্রী; কিন্তু noun subject এর লিঙ্গ কিন্তু শুধু দুটি না ! এই noun subject আল্লাহ, শয়তান, সূর্য, বাতাস সবকিছুই হতে পারে; কিন্তু verb হবে শুধু দুটি- হয় পুং না হয় স্ত্রীলিঙ্গ।
বুঝুন কি ফ্যাসাদ!
[বিতর্কটি হয়েছিলো সামহোয়ারইনব্লগে, ব্লগার ফারজানা১৬ এর সাথে। পরবর্তীতে সচলায়তন ও মুক্তমনায় ব্লগপোস্ট হিসেবে ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০০৮ প্রকাশিত।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন